ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও অলিগলিতে ভিড় করছে মানুষ

তামিম মজিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও অলিগলিতে ভিড় করছে মানুষ

ঢাকা: বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে সারাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে সরকার। এরপরও রাজধানীর অলিগলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ। মানছে না কোনো রকমের বাধা-নিষেধ। কাঁচাবাজার, দোকান, ফার্মেসিতেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এ নিয়ে উদ্বেগ-শঙ্কা আরও বাড়ছে সচেতন মহলে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেহেতু করোনা ভাইরাসের কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, তাই এই ভাইরাস রোধে সামাজিক দূরত্বই প্রধান কার্যকর উপায়। সরকারও বলছে, সব নাগরিককে বিশেষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতে অবস্থান করতে।

বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে।  

কিন্তু সরকারের সেই ঘোষণার পরও মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে। অলিগলি ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ দোকানে বসে আড্ডাও দিচ্ছে। সচেতনতার অভাবেই মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানায় সচেতন লোকজন।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেট, মনিপুরী পাড়া, কাফরুল, রোকেয়া সরণি, ইসিবি চত্বর, নিকুঞ্জ ও কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মেইন সড়কে চলছে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি। কোথাও লেগে আছে জ্যাম। সিগনালেও ব্যস্ত ট্রাফিক পুলিশ। সড়কেও নেই নিরাপদ দূরত্ব।
দোকানে মানুষের ভিড়, ছবি: জিএম মুজিবুরএসব এলাকার অলিগলি ঘুরে দেখা যায়, মুদি দোকানে পণ্য কেনায় সামাজিক দূরত্ব মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই। অনেকে আবার আড্ডা-গল্প করছেন দোকানে বসে। এতে করোনা ঝুঁকি আরও বাড়ছে। আতঙ্কে দিন কাটছে সচেতন মহলে।

রাজধানীর ভাটারা মোড়ের একটি ফার্মেসিতে গিয়ে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব তৈরিতে কোনো ব্যবস্থা নেই। লোকজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ওষুধ কিনছেন। এতে ঝুঁকিতে রয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই।

লকডাউনের মধ্যেও কেন দোকানে বসে গল্প করছেন, জিজ্ঞেস করলে নিকুঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আবুল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, কপালে থাকলে করোনা এমনিই হবে। কেউ ঠেকাতে পারবে না।
অলিগলিতে মানুষের ভিড়, ছবি: ডিএইচ বাদলকুড়িল বিশ্বরোড এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, লকডাউনে বাসায় থাকতে থাকতে টায়ার্ড লাগছে। তাই একটু হাঁটাহাঁটি করতে বের হয়েছি।

ভাটারা মোড় এলাকার বাসিন্দা ঈনাম মাহমুদ বলেন, লকডাউন হলে কী হবে, সরকার তো আমাদের পেটে ভাত দেবে না। পেটের তাগিদে বের হতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
টিএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।