জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে এমনটাই আভাস পাওয়া গেছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদের এই অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
বিশ্বব্যাপী নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রকোপ বেড়েই চলছে। এর থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতা অনুযায়ী সংসদের একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন বসতে হবে। সেক্ষেত্রে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের পরবর্তী অধিবেশন বসতে হবে। কারণ চলতি সংসদের সর্বশেষ অর্থাৎ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। এ বাধ্য-বাধকতার কারণে আগামী ১৮ এপ্রিল জাতীয় সংসদের নিয়মিত অধিবেশন বসবে।
সংবিধান অনুযায়ী চলতি সংসদের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে সংসদের অধিবেশনের শুরুতে তার ওপর আনা শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পর ওই দিন অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। সম্প্রতি চলতি সংসদের পাবনা-৪ আসনের সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুল রহমার শরীফ মৃত্যুবরণ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ১৮ এপ্রিল অধিবেশনের শুরুতে প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। শোক প্রস্তাবের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে এ অধিবেশ শেষ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
ওই সূত্রগুলো আরও জানায়, ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি কারণে এ অধিবেশন বসবে অত্যন্ত সতর্কতার মধ্যে। সংসদ কার্যে অপরিহার্য্য কর্মকর্তা কর্মচারীরাই শুধু এ দিন উপস্থিত থাকবেন। গণমাধ্যম কর্মীদের সংসদ ভবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বয়স্ক ও ঢাকার বাইরে সংসদ সদস্যদের যারা অবস্থান করছেন তাদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিরুসাহিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬০ জনের কোরাম পূরণ হওয়ার মতো উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে যাতে অধিবেবশন কক্ষে আসন দুরুত্ব বজায় রাখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
এসকে/ওএইচ/