বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর মাহিগঞ্জ সাতমাথা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি এন্ড মিডিয়া) উত্তম প্রসাদ পাঠক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে টিসিবির পণ্য অবৈধভাবে মজুত ও বিক্রির অভিযোগে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) নগরীর পশ্চিম খাসবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল হালিম (৬২) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১০৮ কার্টন সয়াবিন তেল, ৫০ কেজি ওজনের ১৭ বস্তা চিনি, এক বস্তা ডাল ও ৩৭ কেজি খোলা সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। পরদিন শনিবার (১১ এপ্রিল) বোতলা বৈশাখী ক্লাব মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে লুৎফর রহমান নামে অপর এক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে টিসিবির পাঁচ লিটার ওজনের ৭ কার্টন ও দু’লিটার ওজনের ২৩ কার্টন সয়াবিন তেল এবং ৫০ কেজি ওজনের দু’বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়।
পরে অনুসন্ধান করে জানা যায়, উদ্ধার করা এসব পণ্য ডিলার ও রংপুর মহানগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আজমল উদ্দিনের কাছ থেকে কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রির জন্য মজুত করে রেখেছিলেন ওই দুই ব্যবসায়ী।
উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, এক সপ্তাহে রংপুর মহানগরীতে প্রায় সাড়ে ১৬০০০ হাজার লিটার তেল, ৫০০০ কেজি চিনি ও ডালসহ ১৮ জনকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অনুসন্ধার করে টিসিবির এক কর্মকর্তার যোগসাজশে সিন্ডিকেট করে আজমল উদ্দীনের এ কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ।
এ ঘটনায় আজমলের ডিলারশিপ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা দায়ের করা হয়। পরে যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতির পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
এবি