বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের পোঁতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিপি ওই গ্রামের বিপুল বর্মণের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) রাতে পরিবারের সবার খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন লিপি। হঠাৎ রাত ২টার দিকে লিপির ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় তার ছেলে বাপ্পী নড়াচড়া করছে না দেখে তিনি চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে তার শ্বশুর-শাশুড়ি তার ঘরে এসে বাপ্পীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় লিপি বিলাপ করে বলতে থাকেন আমার ছেলে মারা গেছে আমিও আর বেঁচে থাকবো না।
এদিকে বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে সবার অজান্তে কীটনাশক পান করেন লিপি। পরে প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
লিপির স্বামী বিপুল বর্মণ জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় একটি চালকলে শ্রমিকের কাজ করেন। এ কারণে তিনি সেখানেই থাকেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসেন বিপুল। কিন্তু সম্প্রতি করোনার কারণে যানবাহন না থাকায় বিপুল নিয়মিত বাড়িতে আসতে পারেন না। বাড়িতে বিপুলের বাবা-মা এবং স্ত্রী-সন্তান বসবাস করতেন।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বাংলানিউজকে জানান, মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় প্রতিবেশীরা তেমন কিছু বলতে পারছে না। ময়নাতদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২০
কেইউএ/এএটি