তবে সার্বিক দিক বিবেচনা করে সারাদেশের মতো ঝালকাঠিতে সরকারি উদ্যোগে কর্মহীন অসহায়-দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। যা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বন্টন করা হচ্ছে।
সরকারি এ উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও অসহায়-দুস্থদের একইভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিত্তবানরা এগিয়ে এসেছেন।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, জেলায় অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। যাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ সরকারিভাবে ৩২৭ মেট্রিক টন চাল, ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। যেখানে অগ্রাধিকার দিয়ে বেদে, তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়, রিকশাচালক, প্রতিবন্ধীদের আগে সহায়তা দেয়া হয়েছে। গোটা জেলায় এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ৭৫০টি পরিবারকে সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও বিত্তবানরা আরো প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। আর এ কার্যক্রম চলমানও রয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমরা ৫ হাজার স্যানিটাইজার উৎপাদন করে মানুষের মধ্যে দিয়েছে। ১০ হাজার মাস্ক বিতরণ করেছি। ঝালকাঠি শহরসহ উপজেলা সদরগুলোর বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।
জোহর আলী বলেন, জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি ৩টি প্রতিষ্ঠান রাখা হয়েছে, যেগুলোকে পরবর্তীতে প্রয়োজনে স্বাস্থ্যকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারাবো। পাশাপাশি আমরা সার্বিক মনিটরিং জোরদার রেখেছি। কৃষি উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার কাজ করে যাচ্ছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী, স্বাস্থ্যবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে আমরা জনগণের পাশে আছি, থাকার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
এমএস/আরবি/