বাঁশের তৈরি টুকরি বিক্রি করে প্রতিদিন দুই/তিনশ টাকা পেয়ে যাও বা তাদের সংসার চলতো এখন তাও বন্ধ হয়ে গেছে। করোনা সংকটের কারণে টুকরিগুলো এখন আর ফেরি করে বিক্রি করতে পারেন না।
জোহরা বাংলানিউজকে বলেন, গত পনের দিনের এই সংকটময় মুহূর্তে এক মুটো ত্রাণের জন্য ছুটেছি দিকবিদিগ। কিন্তু পাইনি তাও। চলমান সময়ে সরকারি সংস্থাসহ ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন ত্রাণ বিতরণ করলেও বয়সের কারণে দৌড়-ঝাঁপ করতে পারিনা তাই সে ত্রাণ জোটেনি কপালে।
অনেকের মত ত্রাণের তালিকাভুক্ত হতে পারলেও নিমর্ম ভাগ্যের কষাঘাতে তা থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন জোহরা।
তিনি আরো জানান, স্বামী হারিয়েছেন পনের বছর আগে। তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে তাদের আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়। একমাত্র ছেলে সংসারের ভরসা ছিল। সে ছেলেও দুইমাস আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। তারপর থেকে অনেক কষ্ট করে শাশুড়ি-বউয়ের দিন কাটাতে হচ্ছে। ছেলে মারা গেলেও পুত্রবধূকে নিয়েই তিনি সংসারের ঘানি টানছেন। দুই জন মিলেই টুকরি বানিয়ে তা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন।
এই অভাব অনটনের সময়ে তাদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী মো. আফজাল হোসেন নিছার। তিনি তার ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন চাল, ডাল তেল, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।
তিনি বলেন, ওই বৃদ্ধা খুবই অসহায়। তাকে আমি প্রায় সময়ই সাহায্য করে থাকি। সে সঙ্গে সমাজের বিত্তবানরাও যাতে তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসে সে জন্য কাজ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২০
আরএ