ঢাকা: বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে কলা পাকানোর অভিযোগে রাজধানীতে এক কলা-আড়ৎ ম্যানেজারকে আটক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিষ্ঠানের মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএসটিআই পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন। এ সময় বিএসটিআই’র কর্মকর্তা আবু সাইদ, মো. হানিফ এবং র্যাব ৩-এর খিলগাঁও কোম্পানির ক্যাপ্টেন আশিক উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ স্টান্ডার্টস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত রামপুরা থানাধীন বনশ্রীর মেরাদিয়া হাটের মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ নামের আড়তে অভিযান চালায়। আড়ত তল্লাশি করে বিষাক্ত কেমিকেল ইথেফোন-৪০৭ উদ্ধার এবং কেমিকেল মেশানো ১০০ ছড়া কলা জব্দ করা হয়। এ সময় আটক করা হয় আড়তের ম্যানেজার মো. হাসান আলিকে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, অবৈধ উপায়ে কলা পাকানোর দায়ে আটক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, খাদ্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে।
ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, ‘স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ইথেফোন-৪০৭ কেমিকেলটি মূলত ফসলের গোড়ায় ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহারে সাধারণত ৬০ দিন পর ফসল পাকে। কিন্তু এ কেমিকেল মেশানো পানিতে কলা চুবানো হলে তা একদিন পরেই পাকে। ’
আটক ম্যানেজার হাসান আলি বলেন, ‘এ কেমিকেলগুলো পানিতে মিশিয়ে সে পানি কলার ওপর ছিটানো হয়। এতে কলা একদিন পরেই পাকে যায়। কিন্তু ছয়-সাত ঘণ্টার মধ্যে পাকানোর জন্য কলাগুলোকে ওই পানিতে চুবিয়ে রাখা হয়। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৬৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১০