স্থানীয় ফাজিলপুর ইউপি সদস্য মাহমুদুন নবী বাবর জানান, ২৪ মার্চ ওই ও তার ছেলে নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। তারপর থেকে তার জ্বর ও গলা ব্যাথায় ভুগছিলেন।
গত মঙ্গলবার তার জ্বর ও গলাব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে বাড়ি থেকে তার ছেলে এক চিকিৎসককে মোবাইলে যোগাযোগ করে চিকিৎসা নেয়ার চেষ্টা করে। চিকিৎসক করোনার উপসর্গ থাকায় তাদের ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে ওই ছেলে কথা শেষ না করে মোবাইল বন্ধ করে দেন। পরে চিকিৎসক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় বাড়ি শনাক্ত করলে বুধবার রাতে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ওই এলাকায় লকডাউন জারি করা হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য এ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়। কিন্তু তার পরিবার ও স্বজনদের বাধার মুখে এ্যাম্বুলেন্স ফিরিয়ে দেয়া হয়। তারপরও বৃহস্পতিবার তার দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা জানান, আমরা যখন খবর পেয়েছি তখন ওই ব্যক্তির অবস্থা কিছুটা সংকটাপন্ন ছিলো। তখনই ওই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নিয়ে ভেন্টিলেটর দেয়ার প্রয়োজন মনে হয়েছিলো। কিন্তু পরিবারে বাধার মুখে এ্যাম্বুলেন্স ফিরে আসে। তার নমুনা নিয়ে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। রাতেই বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে দাফনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেন, ‘আমি জেনেছি লোকটি গত মাসের ২৪ তারিখ নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছে । অসুস্থ হওয়ার পর সে স্বাস্থ্য বিভাগকে জানায়নি। মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তিটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার বাড়ি ও আশ পাশের এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
এসএইচডি/এমএমএস