বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আমেনা বেগম (৪০) নামে এক নারী করোনার উপসর্গ নিয়ে ৭ এপ্রিল হাসপাতালের যান। জ্বর, সর্দিসহ বিভিন্ন কারণে করোনা সন্দেহে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করে স্বাস্থ্যবিভাগ।
পাশাপাশি আগাম সতর্কতা হিসেবে ৭ এপ্রিল বিকেল থেকেই ওই নারীর বাড়িসহ আশপাশের চারটি বাড়ি লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন।
এরপর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে প্রেরণকৃত ওই নারীর নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্টে ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে ওই নারীর বাড়িসহ আশপাশের চারটি বাড়ির লকডাউন প্রত্যাহার করা হয় বলে জানান জেলা প্রশাসনের সহকারি কশিনার সুব্রত বিশ্বাস।
বরিশালে চালু হওয়া আরটি-পিসিআর ল্যাবে ২ দিনে ৪জন সন্দেহভাজন করোনা রোগীর নমূনা পরীক্ষা হয়েছে। গত বুধবার ল্যাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ার পর শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সন্দেহভাজন ২জনের এবং বৃহস্পতিবার আরও ২ জন করোনা সন্দেহভাজন রোগীর নমূনা পরীক্ষা করা হয়।
এদের মধ্যে গত বুধবার নমুনা পরীক্ষা করা ২ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের ২জনের কেউই করোনা আক্রান্ত নয়। বাকি দুজনের রিপোর্ট ফলাফল শুক্রবার পাওয়া যাবে।
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীত ভূষন দাস জানান, পরীক্ষার রিপোর্ট স্থানীয়ভাবে জানানো হবে না ঢাকার আইইডিসিআর সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, তারা কারোর নমূনা সংগ্রহন করেন না। কোন হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে করোনা সন্দেহে কোন নমূনা পাঠালে মেডিকেলে কলেজে স্থাপিত আরটি-করোনা ল্যাবে পরীক্ষা করে রিপোর্ট ঢাকার সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘন্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২০
এমএস/এসই/এমএমএস