ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সোনাইমুড়িতে জ্বর-শ্বাসকষ্টে ইতালি প্রবাসীর মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
সোনাইমুড়িতে জ্বর-শ্বাসকষ্টে ইতালি প্রবাসীর মৃত্যু

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে মোরশেদ আলম (৪৫) নামের এক ইতালি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ সন্দেহে বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) রাতে সোনাইমুড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টিনা পালের নির্দেশে বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করে বাড়িটির সামনে লাল পতাকা স্থাপন করা হয়েছে। প্রবাসীর বাড়ি লকডাউনের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

নিহত মোরশেদ আলম উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, গত নভেম্বর মাসে ইতালি থেকে দেশে আসেন মোরশেদ আলম। কিছুদিন আগে তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তিনি স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরমার্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করেন। কিন্তু গত ১০-১২ দিন আগে তার শরীরের জ্বরের তীব্রতা বেড়ে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা পাঠান। কিন্তু তিনি ঢাকা গিয়ে কোন প্রকার চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।  

নিহতের স্বজন আব্দুর রাজ্জাক জানান, মোরশেদ আলম গত কয়েকদিন ধরে সর্দি, উচ্চ মাত্রায় জ্বর ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন। বুধবার বিকেলে তার শরীরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শরীরের আরও অবনতি ঘটলে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা নেওয়ার পথে মোরশেদ আলমের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মোরশেদ আলম দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ থাকলেও তিনি ভালো কোন চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বাড়িতে ছিলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসন থেকে নিহতের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে। ওই বাড়ির চারটি পরিবারের ২৭জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ওই প্রবাসীর প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট ছিল। তার ফুসফুস সঠিক ভাবে কাজ করছিল না। রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাতেই ঢাকায় স্থানান্তর করা নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরিবারের লোকজন ভোরে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা দেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো মোমিনুর রহমান জানান, গত নভেম্বর মাসে ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলম বাড়িতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি কয়েকদিন ধরে সর্দি, জ্বর ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তার মৃতদেহ বর্তমানে ঢাকা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। নিহতের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা প্রজেটিভ আসলে নিহতের মরদেহ ঢাকায় দাফন করা হবে। আর নেগেটিভ আসলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad