ঢাকা: ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বুধবার দুপুরে নগরীর মহাখালী বাসস্ট্যান্ড পরিদর্শন করেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) কর্নেল এস এম মতিউর রহমান।
দুপুর একটার দিকে তিনি মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে যান।
আবুল কালাম বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ডের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য মালিক ও শ্রমিক সমিতির পক্ষ থেকে ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছেন । ’
এছাড়া মালিক ও শ্রমিক সমিতির ১৬ জন নেতা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও তিনি জানান।
এরপর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের টিকিট কাউন্টারে টিকেট বিক্রেতার কাছে বাসের সময়সূচি এবং যাত্রীরা সিটে বসে যেতে পারছে কি না জানতে চান।
এরপর কর্নেল মতিউর রহমান টিকিট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়ানো ময়মনসিংহের যাত্রী আব্দুল জলিলের কাছে টিকিট কাটতে গিয়ে কোনো হয়রানিতে পড়তে হয়েছে কি-না জানতে চান। জবাবে কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না বলেই জানান তিনি।
র্যাব এডিজি যাত্রীদের কাছে বাসস্ট্যান্ডে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা- হচ্ছে কি-না জানতে চান। তিনি র্যাব সদস্যদের দায়িত্ব পালন সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন।
বাসস্ট্যান্ডে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘরমুখী মানুষকে নিরাপত্তা দিতে কমলাপুর, সায়েদাবাদ, মহাখালী, গাবতলী, মাওয়া ও পাটুরিয়া ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। ঈদের দিন ও পরবর্তী ছুটির দিনগুলোতেও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকবে।
ঈদকে সামনে রেখে নগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে প্রায় ৩হাজার র্যাব সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত ২০টি অস্থায়ী ক্যাম্প, ৪৫টি টহল দল ও ২৫০টি চেক পোস্ট বসানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
মহাসড়কগুলোতে বাস আটকে চাঁদা নেয়া হচ্ছে এবং এ কারণে সড়কে কৃত্রিম যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, এই চাঁদাবাজদের ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই চাঁদাবাজদের ঠেকাতে আমাদের বিশেষ দল সক্রীয় আছে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজদের ব্যাপারে আমরা কোনো ছাড় দেই না, এদের প্রতিরোধে আমাদের বিশেষ দল সক্রিয় আছে।
বাংলাদেশ সময় ১৬০০ ঘণ্টা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০