তিনি বলেন, সিলেটের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। কোনোভাবেই কোনো ধরনের গুজবে কান না দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান ওই মেজর মো. কামরুল হাসান।
সিলেটের দায়িত্বরত ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনাবাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে, দেশ মাতৃকার দুর্যোগপূর্ণ সময়ে আজীবন আমরা পাশে থাকবো। করোনা ভাইরাসকে একটি যুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী। তাই কি পেলাম, কি পেলাম না ও কোনো কিছুর লাভের আশায় সেনা বাহিনীর সদস্য হিসেবে আমরা কাজ করি না। দেশটা আমাদের, তাই কাজটা আমদেরকেই করতে হবে। ’
‘বাড়ি বা হাসপাতাল যেখানেই কোয়ারেন্টিন হোক- করোনা ভাইরাস যেহেতু আক্রান্ত এলাকায় ভয়াবহ গতিতে সংক্রমণ ঘটায়-সে কারণে যেসব এলাকায় কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশনে করোনা সন্দেহে মানুষজনকে রাখা হচ্ছে, সেসব এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। একটা ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এমন অবস্থায় বেড়েছে উদ্বেগ, বেড়েছে পরিবারগুলোর দুশ্চিন্তা। কিন্তু এই দুশ্চিন্তা কোনো সমাধান নয়। জনসাধারণকে আত্মবিশ্বাসী ও সচেতন করে তুলতে হবে। কারণ এই ভাইরাসের মোকাবিলায় প্রয়োজন দৃঢ় আত্মবিশ্বাস। ’
এ প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে ভাইরাসটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক, মনে করেন এই সেনা কর্মকর্তা। সিলেটের শান্তি রক্ষায় সিলেটবাসীর সহায়তা চেয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা কোনোভাবেই কোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না, গুজবকে প্রশ্রয় দেবেন না। সিলেটের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা আমাদেরকে সহায়তা করুন। ’
করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনাজনিত উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে সরকারের দেওয়া হটলাইন নম্বরগুলো ব্যবহার করুন। প্রত্যেকে যার যার ঘরে থাকুন। ধৈর্য, সহনশীলতা ও সৎ সাহসের পরিচয় দিয়ে আমাদের সবার দায়িত্ব এই মহামারিতে সঠিক ভূমিকা পালন করা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২০
এনইউ/এএটি