বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ৩ হাজার ১৭৯ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। যারমধ্যে এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি জেলায় ৩২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জেলার মধ্যে বরিশাল, ভোলা ও পিরোজপুরে ১৮৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
তবে বরিশাল নগর, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলায় নতুন করে যেমন কেউ হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়নি, তেমনি পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলায় কাউকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়নি।
এর বাইরে বিভাগে ২৭ জন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হন, যারমধ্যে ১৪ জনকে এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মৃত ২ জন রোগীর মধ্যে ১ জনের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অপরজনের রিপোর্ট এখনো হাতে পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আজ থেকে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া বরিশালে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৮৩১টি পিপিই হাতে পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
এমএস/এইচএডি/