এলকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ বুধবার (৮ এপ্রিল) জোয়ারের পানি বাড়ায় উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। বাঁধ ভাঙার শুরুর খবর পেয়েই স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে পারলেও রাতের ভরা জোয়ার নিয়ে আতঙ্কিত ওই এলাকার সাধারণ মানুষ।
এছাড়া কয়রার উপজেলার পাউবোর ১৫৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ২১ কিলোমিটার ঝুঁকিতে আছে। এর মধ্যে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় ঝুঁকিপূর্ণ এই বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকায় লোনা পানি প্রবেশ করতে পারে।
মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জি এম আব্দুল্যাহ আল মামুন লাভলু বলেন, নদীতে জোয়ারের পানি বাড়ায় দশহালিয়াসহ কয়েকটি জায়গায় পানি প্রবেশ করেছে। খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক কাজ করা হয়েছে। শ্রমিক লাগিয়ে দিন-রাত কাজ করা হচ্ছে। তবে পাউবো কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে ভাঙন রোধ করা যাবে না।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা জানান, কয়রার মানুষের জীবন-মরণের সঙ্গী পাউবোর বেড়িবাঁধ। উপকূলীয় জনপদের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ জরুরি। এ ব্যাপারে পাউবো কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
পাউবোর আমাদী সেকশন অফিসার সেলিম মিয়া জানান, দশহালিয়া বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করার বিষয়টি জানতে পেরেছি। পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
এমআরএম/এএ