বুধবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে আইসিইউ সাপোর্ট আছে এমন অ্যাম্বুলেন্সযোগে ওই চিকিৎসককে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্থানাস্তর করার কথা।
সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ওই চিকিৎসকের শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বাংলানিউজকে বলেন, যদিও করোনা রোগী স্থানান্তরের কথা নয়, কিন্তু তার পরিবারের চাওয়া অনুযায়ী ওই হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই অ্যাম্বুলেন্সটি চট্রগ্রাম থেকে একজন করোনা রোগী বহন করেছে। যে কারণে ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওষুধ ছিটিয়ে ৪৮ ঘন্টা রাখতে হবে। যেকোনো যানবাহনেই এসব রোগী বহন করলে ৪৮ ঘন্টা ওষুধ ছিটিয়ে রেখে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। কেননা, গাড়িতেও করোনা ভাইরাসের জীবাণু থাকতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সবার সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
গত রোববার (০৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিলেটে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত হন ওই চিকিৎসক। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রশাসন ওই চিকিৎসকের বাসা লকডাউন করে দেয়। পরদিন পুরো এলাকা লকডাউন করে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই চিকিৎসকের অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) রাতে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তার অবস্থা অবনতির দিকে জানিয়েছেন আইসোলেশন ইউনিটের চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
এনইউ/এইচএডি/