ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধে দুই কূটনীতিকের অবদান স্মরণ করলেন মোমেন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২০
মুক্তিযুদ্ধে দুই কূটনীতিকের অবদান স্মরণ করলেন মোমেন

ঢাকা: ১৯৭১ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অসাধারণ ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন তৎকালীন দু’জন তরুণ বাঙালি কূটনীতিক। একজন নয়াদিল্লির পাকিস্তান হাইকমিশনের সেকেন্ড সেত্রেটারি কে এম শিহাবুদ্দিন এবং অ্যাসিসট্যান্ট প্রেস অ্যাটাশে আমজাদুল হক। তারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে সর্বপ্রথম কূটনীতিকের পদ ছেড়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেন।

বুধবার (৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল (৭ এপ্রিল) কেএম শিহাবুদ্দিনের অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, খোঁজ-খবর নেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

এসময় ড. মোমেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি কেএম শিহাবুদ্দিনের স্ত্রী বুলবুলের অসাধারণ অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করেন।

মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হওয়ার আগেই কে এম শিহাবুদ্দিন ও আমজাদুল হক নয়াদিল্লিতে এক প্রেস কনফারেন্স করে স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের কথা চিন্তা না করে লোভনীয় কূটনীতিকের পদ ছেড়ে দেন। তারা পাকিস্তান সরকারের অন্যায়-অত্যাচারের তীব্র নিন্দা জানান, যা সমগ্র পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তাদের অনুসরণ করে সে সময় ১৯টি দূতাবাসের ১১৫ জন বাঙালি কূটনীতিক বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগরে গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকারের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেন।

কেএম শিহাবুদ্দিন পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন এবং আমজাদুল হক বর্তমানে অসুস্থ। এর আগে কে এম শিহাবুদ্দিনকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার ও আমজাদুল হককে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।