কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে বেশকিছুদিন ধরে এসব পরিবার অর্ধাহারে ও অনাহারে রয়েছেন। কভিড-১৯ এর কারণে সময় যত গড়াচ্ছে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
এসব পরিবার বাধ্য হয়েই অন্যদের সহায়তা নিয়ে বুধবার (০৮ এপ্রিল) খাবারের সংকট মেটাতেই ৩৩৩ হটলাইনে কল করে বসেন। এই কল ঢাকা জেলা প্রশাসনে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। এর পরই ঢাকা জেলা প্রশাসন অনাহারে থাকা পরিবারের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুমে ফোন কল পেয়ে ২০ ভ্যানচালক পরিবারের হাতে, পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল পৌঁছে দেওয়া হয়।
এগুলো শেষ হলে পুনরায় খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন অসহায়দের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসনের আওতায় শুরু হলো ভ্রাম্যমাণ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এই ধারাবাহিকতায় অসহায়দের দ্বারে দ্বারে ত্রাণ নিয়ে ছুটছেন মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ আলী।
সরকারের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন, ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মাদপুর, উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, শান্তিবাগ, বাবুবাজার, মাতুয়াইল ও লালবাগ এলাকার এক হাজার মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়াও দারুসসালাম এলাকার ৩য় কলোনীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি পরিবারের মধ্যে সরকারের পক্ষে খাবার বিতরণ করেন মিরপুর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ আলী।
ত্রাণ পাওয়া চান মিয়া বাংলানিউজকে জানান, তিনি পরিবার নিয়ে পশ্চিম মনিপুর মিরপুর এলাকায় টিনশেডে থাকেন। অন্য সময় ভ্যান চালিয়ে আয় করে সংসার চলতো। কিন্তু করোনা ভাইরাস তাকে ঘরবন্দি করেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে কাজ বন্ধ তাই হাত পাততে হচ্ছে। এর আগে কখনো কারও কাছে হাত পাতেননি তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
এমআইএস/এইচএডি/