ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অসহায় ভ্যানচালকদের ত্রাণ পৌঁছে দিল ঢাকা জেলা প্রশাসন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২০
অসহায় ভ্যানচালকদের ত্রাণ পৌঁছে দিল ঢাকা জেলা প্রশাসন

ঢাকা: মিরপুর পশ্চিম মনিপুর বাকের মোল্লার মোড়ে বসবাস ২০ ভ্যানচালকের। কেউ কখনো কারোর কাছে হাত পাতেনি। কর্মঠ মানুষগুলো কখনো ভ্যান গাড়িতে সবজি বিক্রি বা বাসা বাড়ি বদলানোর সময় মালামাল বহন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। তাদের আয় ছিল ভালোই।

কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে বেশকিছুদিন ধরে এসব পরিবার অর্ধাহারে ও অনাহারে রয়েছেন। কভিড-১৯ এর কারণে সময় যত গড়াচ্ছে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।

এ রোগের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করছেন দেশের মানুষ। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালকসহ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা। ফলে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে তাদের।

এসব পরিবার বাধ্য হয়েই অন্যদের সহায়তা নিয়ে বুধবার (০৮ এপ্রিল)  খাবারের সংকট মেটাতেই ৩৩৩ হটলাইনে কল করে বসেন। এই কল ঢাকা জেলা প্রশাসনে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। এর পরই ঢাকা জেলা প্রশাসন অনাহারে থাকা পরিবারের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুমে ফোন কল পেয়ে ২০ ভ্যানচালক পরিবারের হাতে, পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল পৌঁছে দেওয়া হয়।

এগুলো শেষ হলে পুনরায় খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন অসহায়দের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসনের আওতায় শুরু হলো ভ্রাম্যমাণ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এই ধারাবাহিকতায় অসহায়দের দ্বারে দ্বারে ত্রাণ নিয়ে ছুটছেন মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ আলী।

সরকারের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন, ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মাদপুর, উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, শান্তিবাগ, বাবুবাজার, মাতুয়াইল ও লালবাগ এলাকার এক হাজার মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়াও  দারুসসালাম এলাকার ৩য় কলোনীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি পরিবারের মধ্যে  সরকারের পক্ষে  খাবার বিতরণ করেন মিরপুর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ আলী।

ত্রাণ পাওয়া চান মিয়া বাংলানিউজকে জানান, তিনি পরিবার নিয়ে পশ্চিম মনিপুর মিরপুর এলাকায় টিনশেডে থাকেন। অন্য সময় ভ্যান চালিয়ে আয় করে সংসার চলতো। কিন্তু করোনা ভাইরাস তাকে ঘরবন্দি করেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে কাজ বন্ধ তাই হাত পাততে হচ্ছে। এর আগে কখনো কারও কাছে হাত পাতেননি তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
এমআইএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।