এতে বলা হয়, বর্তমান সময়টিতে এডিস মশার বিস্তার ও এর মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। তাই গতবছরের মতো এ বছরও আমাদের সক্রিয় ও সতর্ক হতে হবে।
এ অবস্থায় ডেঙ্গু রোগ রোধে অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এর আশপাশে যেসব জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমার আশঙ্কা থাকে (যেমন- প্রতিষ্ঠানের ছাদ, নির্মাণাধীন ভবন, ফুলের টব, বাগান, নালা, পানির ট্যাপের আশপাশের এলাকা, পানির পাম্প, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার স্থান, পানির বদনা, বালতি, হাইকমোড, আইসক্রিম বক্স, প্লাস্টিক বক্স, ডাবের খোসা, টায়ার ইত্যাদি) সেসব জায়গা চিহ্নিত করে একদিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে।
‘বদনা এবং বালতি পানিশূন্য করে উল্টে রাখা; হাই-কমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখা এবং লো-কমোডের প্যানে হারপিক ঢেলে বস্তা বা অন্য কিছু দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে। কোনো জায়গায় পানি জমা থাকলে লার্ভিসাইড স্প্রে করতে হবে অথবা জমা পানি নিষ্কাশন করতে হবে। ’
একটি ডিউটি রোস্টার করে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমটি নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে নির্দেশনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন/পৌরসভার সঙ্গে সমন্বিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক সম্প্রতি মাউশির অধীন সংশ্লিষ্ট সব অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে গত ১৮ মার্চ থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে। এই ছুটি আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এডিস মশার বিস্তার রোধে এ নির্দেশনা প্রতিপালনের সময় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান সতর্কতামূলক নির্দেশনাও কঠোরভাবে পালন করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ