মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে হাইকমিশন।
এতে বলা হয়, করােনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরােধে ভারত সরকার ঘােষিত তিন সপ্তাহের দেশব্যাপী ‘লকভাউন’ আগামী ১৪ এপ্রিল শেষ হতে যাচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে ভারতের বিভিন্ন শহরে চিকিৎসা, ভ্রমণ বা অন্যকোনো কাজে এসে আটকে পড়েছেন অনেক বাংলাদেশি। তাদের অবিলম্বে দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য অনুরােধ করা যাচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ও অভিভাবকদের পরামর্শ মােতাবেক ভারতে অবস্থান বা দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষ প্রয়ােজন ছাড়া আন্তর্জাতিক ভ্রমণ না করার জন্য অভিমত দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ঘােষিত নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রত্যাবর্তনকারী দুই সপ্তাহের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরুর ব্যাপারে এখনও কোনো ঘোষণা না আসায় এবং ভারতের দূরবর্তী রাজ্য ও শহরগুলো থেকে বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনায় দেশে আসার বর্তমানে কোনো সুযোগ না থাকায় সবাইকে নিজ উদ্যোগে সরাসরি, বিমান বা রেলপথে কলকাতা অথবা আগরতলা হয়ে দেশে ফেরার জন্য অনুরােধ করা যাচ্ছে।
সেক্ষেত্রে কলকাতা ও আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো প্রয়োজনে আগ্রহী সবাইকে সীমান্তে পৌঁছানাের ব্যাপারে সহায়তা করবে। লকডাউন শিথিলের সময়ের মধ্যে ভ্রমণ সম্পর্কিত তথ্যের জন্য অবিলম্বে বিমান অথবা রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যােগাযােগ করে ভ্রমণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করুন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরার ব্যাপারে অনির্ভরযােগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত কোনো তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আপনার যাত্রা বিলম্বিত করবেন না। পরবর্তী লকডাউনও দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। বাংলাদেশ হাইকমিশন তথা সরকারের অনুরােধে ভারত সরকার তামিলনাড়ুর, চেন্নাই ও ভেলোরে এবং কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসারত বাংলাদেশি রােগী ও তাদের সঙ্গে আসা পরিবারের সদস্যদের আবাসন ও খাদ্যসহ কিছু মৌলিক প্রয়ােজন মেটাতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে আবাসনগুলোর মালিকরা ভাড়া ও খাবার বাবদ অর্থ সম্পূর্ণ অথবা আংশিক মওকুফ করেছেন। বেঙ্গালুরুতে নারায়না হাসপাতালের আন্তর্জাতিক শাখা থেকে বিনামূল্যে দুপুর ও রাতের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো যেকোনো প্রয়ােজনে আপনাদের পাশে রয়েছে। বাংলাদেশ মিশনগুলোর হটলাইন নম্বর চালু রয়েছে। সেগুলো হলো- নয়াদিল্লি +৯১ ৮৫৯৫৫ ৫২৪১৪, কলকাতা +৯১ ৯৩৩৮২ ২৩৮৩৪ অথবা + ৯১ ৯৬৭৮ ৯০০, গােয়াহাট + ৯১ ৫৮৯ ৩৯৩০৪ এবং আগরতলা + ৯১ ৮১১৯৯ ১০৯২৪।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/