মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে এই মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরে তা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
আহত অবস্থায় রেজিয়া বেগম (৬৫) নামের ওই অসহায় বৃদ্ধা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্ত নাজমুলসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
ঘটনা জানার পর তড়িৎ ব্যবস্থা নেন রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। পরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুকে লেখেন, ‘এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার আসামি নাজমুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার স্ত্রী মালেকাকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে। বৃদ্ধার সার্বিক দেখভাল আমরা করছি। ’
এদিকে, ঘটনার পর আহত বৃদ্ধার বোনের মেয়ে রিমা সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সকালে রেজিয়া বেগম ইউপি সদস্য নৈয়ব আলীর কাছের লোক হিসেবে পরিচিত নাজমুল হকের কাছে যান ত্রাণের স্লিপ চাইতে। এ সময় নাজমুল হক স্লিপ দেননি। উল্টো নাজমুল হকের নেতৃত্বে তার শ্যালক বজলু ও তার পরিবারের সদস্যরা লাঠিসোটা দিয়ে বৃদ্ধা রেজিয়া বেগমকে এলোপাতাড়িভাবে পেটাতে শুরু করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেয়।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রেজিয়া বেগমকে উদ্ধার করে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় সম্পর্কে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ( ইউপি) সদস্য নৈয়ব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তার অজান্তেই এসব ঘটেছে দাবি করেন এবং ঘটনাটি দুঃখজনক বলেও উল্লেখ করেন। এছাড়া দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা জানান।
রাজশাহীর চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমিত কুমার কুণ্ডু বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত নাজমুলকে আটক করতে পেরেছে। এ ঘটনায় নাজমুলের স্ত্রী-সহ বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান চারঘাট থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময় : ০৫১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
এসএস/ইউবি