মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে তাকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার এক পোষাক কারখানার মসজিদে ইমামতি করতেন।
মঙ্গলবার সকালে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও নরসিংদী করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেলের প্রধান ইমরুল কায়েস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নরসিংদী করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেল সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে চাকরি করেন। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তিনি নিজেই ৫ এপ্রিল ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নমুনা দিয়ে আসেন। সোমবার রাতে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। পরে নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটনের নেতৃত্বে চিকিৎসক ও নরসিংদীর করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেলের লোকজন ও পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। তার শারীরিক পরিস্থিতি ভাল। পরে প্রশাসন ডাঙ্গার ইসলামপুর গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাইরে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে প্রশাসন ও পুলিশ খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বলেন, করোনা পজিটিভ খবর পাওয়ার সেঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তার পরিবারে ৯ জন সদস্য রয়েছে। রাতেই তাকে বাকিদের থেকে আলাদা করে রাখা হয়। আর সকালে তাকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পরিবারের বাকি সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইসিডিআর) পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে তারা ও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা।
তিনি আরো বলেন, নরসিংদী এখন পর্যন্ত ২০৮ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। তারা সবাই সুস্থ রয়েছেন। আর যাদের মধ্যে জ্বর, ঠাণ্ডা রয়েছে তাদের মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা উপজেলাগুলোর মধ্যে নরসিংদী সদরে ৭ জন, পলাশে ১৬ জন, শিবপুরে ৭ জন, মনোহরদীতে ৭ জন, বেলাবতে ৭ জন ও রায়পুরা উপজেলায় ৭ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
আরএ