সোমবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে খুলনার নদ-নদীর প্রতিটি ঘাট থেকে।
সবচেয়ে বেশি মানুষ পারাপার হচ্ছেন মহানগরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার রূপসা ঘাট, জেলাখানা ও কালিবাড়ি ঘাট থেকে।
সচেতন মহল বলছেন, শহরে প্রবেশ ও বাহিরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও কেউ কেউ এ নিষেধ মানছেন না। রূপসা ও ভৈরব নদীর ঘাটগুলো থেকে অন্য দিনের মতো মানুষ শহরে প্রবেশ করছেন ও বের হচ্ছেন। নির্দেশনা জারির আগে যে অবস্থা ছিল, এখনও তেমনই আছে। অনেকেই নিষেধাজ্ঞার কথা জানেনও না। আবার অনেকে জেনেও নিষেধাজ্ঞা মানছেন না।
খুলনার বড়বাজারের জিয়াউল হক নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, কালিবাড়ি ঘাটে আগে ৪০টি নৌকা চলতো। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর এখন তিনটি নৌকা চলছে। আগে একটি নৌকায় ১৮ জন যাত্রী নেওয়া হতো। এখন ৪০-৫০ জন নেওয়া হয়। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল। আগে জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হতো দুই টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ৫টাকা।
কেএমপির এডিসি (মিডিয়া) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বাংলানিউজকে বলেন, যত্রতত্র পার হচ্ছে এটা ঠিক নয়। খুলনা শহরের ১৬টি প্রবেশদ্বারে পুলিশ চেকপোস্ট রয়েছে। যাতে শহরে কেউ প্রবেশ ও বাইরে যেতে না পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/