ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

করোনা মোকাবিলায় সিগারেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার আহবান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২০
করোনা মোকাবিলায় সিগারেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার আহবান

ঢাকা: করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সিগারেট বিক্রির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো। একইসঙ্গে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে সিগারেট উৎপাদন, বিপণন সংক্রান্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) ২০টি তামাকবিরোধী সংগঠনের পক্ষে প্রজ্ঞা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবির কথা জানায়।

এতে বলা হয়, তামাক করোনা সংক্রমণ ‘সহায়ক’ পণ্য।

এটি কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ধূমপানের কারণে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। এই সতর্কতা আমলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সিগারেট বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অথচ, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশে দুইটি বহুজাতিক তামাক কোম্পানিকে (সংযুক্ত) সিগারেট উৎপাদন, বিপণন ও তামাক পাতা কেনা অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে সব বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত বিভিন্ন পদক্ষেপ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছে। এ অবস্থায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই জনস্বাস্থ্যবিরোধী পদক্ষেপ জনমনে হতাশা সৃষ্টি করছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে এই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞতাটি কাজে লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছে তামাকবিরোধী সংগঠন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, বিসিসিপি, এসিডি, ইপসা, এইড ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, বিএনটিটিপি, বিটা, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, নাটাব, প্রত্যাশা, টিসিআরসি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, উফাত, তাবিনাজ, ভয়েস, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা এবং প্রজ্ঞা।

বাংলাদেশে তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং প্রায় চার কোটি ১০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজ বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তামাকের ক্ষতির শিকার এই বিপুল প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী বর্তমানে মারাত্মকভাবে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এদিকে, তামাকের স্বাস্থ্যক্ষতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।