এসময়ের মধ্যে পরিবার কিংবা কেউ এগিয়ে আসেনি মরদেহ নিতে বা ধরতে।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৩ টায় প্রচণ্ড জ্বর ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, দেওভোগ কৃষ্ণচূড়া এলাকার বাসিন্দা খাইরুল আলম হিরো মূলত সঙ্গীত জগতে ‘হিরো লিসান’ নামেই পরিচিত। তিনি মূলত বেস গিটারস্টি। সেই সঙ্গে ঝুটের ব্যবসাও করতেন। গত ৭-৮দিন আগে থেকে তিনি প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছিলেন। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্টও ছিল। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসা শেষে তাকে তাকে শহরের দেওভোগের বাসায় আনা হয়। ৭ এপ্রিল ভোরে মারা যান। ওই সময়ে মরদেহটি এলাকা থেকে নিয়ে যেতে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তোলার চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজন এসে বাধা হয়। ফলে মরদেহ পড়ে থাকে বাড়ির গেটের সামনেই।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া হলে বিষয়টি নাসিকের নজরে আসে।
পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে যান সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আফরোজা হাসান বিভা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তফা আলী শেখ ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ স্বজনদের অনুমতিক্রমে নাসিকের তত্ত্বাবধায়নে কবর দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পরিবার ও বাড়ির সবাইকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমরা সকালে ঘটনাস্থলে যাই। নাসিকের তত্ত্বাবধায়নে মরদেহটি দাফন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
এএ