কৃষি মন্ত্রণালয় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন কৃষি উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে কৃষকসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সোমবার (৬ এপ্রিল) বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনা প্রতিপালনে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিা বলে আসছেন- করোনা ভাইরাসের কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের অবস্থার মতো ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
কৃষকের ফসলকে সোনার সঙ্গেই তুলনা করা হয় বাংলাদেশে। আর এজন্য কৃষকদের ফসল ফলানোর অনুরোধ করেছেন শেখ হাসিনা।
কৃষি মন্ত্রণালয় নির্দেশনায় আরো বলেছে, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময়েও জরুরি পণ্য বিবেচনায় সার, বালাইনাশক, বীজ, সেচযন্ত্রসহ সব কৃষিযন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টর ইত্যাদি) এবং যন্ত্রের খুচরা যন্ত্রাংশ, সেচযন্ত্রসহ কৃষিযন্ত্রে ব্যবহৃত জ্বালানি-ডিজেল, কৃষিপণ্য আমদানি, বন্দরে খালাসকরণ, দেশের অভ্যন্তরে সর্বত্র পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় যথারীতি অব্যাহত থাকবে।
ঢাকার শেরেবাংলা নগরে সেচ ভবন প্রাঙ্গণে কৃষকের উৎপাদিত নিরাপদ সবজি সরাসরি বিক্রির জন্য স্থাপিত প্রতি শুক্র ও শনিবারের ‘কৃষকের বাজার’-এ আগত কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি ও সংশ্লিষ্ট কৃষকের চলাচল অব্যাহত থাকবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
সব কৃষিপণ্যবাহগী গাড়ি চলাচল ও এ সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিদের চলাচল অব্যাহত থাকবে।
আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতকরণের সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি, রোপণ, সেচসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর/সংস্থা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করুন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি হ্রাসে নিজের ও কৃষকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সময়ে সময়ে সরকারের জারি করা নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করুন।
কৃষকের সঙ্গে থাকুন, কৃষকের পাশে থাকুন- এ আহ্বান জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
এমআইএইচ/এএ