সোমাবার (৬ এপ্রিল) রাতে প্রতিমন্ত্রী শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের নবনির্মিত করোনা পরীক্ষার ল্যাব পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, পিসিআর মেশিন চালুর পর চারজন টেকনোলজিস্ট এক সপ্তাহ কাজ করবেন, যাদের সঙ্গে আমাদের এখানকার টেকনোলজিস্টরাও থাকবেন এবং কাজ শিখবেন।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা একবার শুরু হলে বরিশালবাসীর জন্য আর চিন্তার কোনো কারণ থাকবে না। প্রথমদিকে পরীক্ষা কার্যক্রমটা একটু স্লো হতে পারে, তবে দু’চারদিন পরে হাত পাকা হয়ে গেলে তারাই ভালো করতে পারবেন।
‘আমরা দোয়া করি বরিশালে যাতে কম কেস ঘটে, বেশি কেস হলে এটা বরিশালবাসীর জন্য দুর্ভাগ্যজনক হবে। আর এ ল্যাবরেটরিটা হওয়ার পরে দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলার মানুষ এখানে পরীক্ষা করতে পারবেন। এখান যারা আছেন আশাকরি তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন এবং পরীক্ষা-নীরিক্ষা ভালো হবে। ’
মন্ত্রীর পরিদর্শনকালে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীত ভূষণ দাস, হাসপাতাল পরিচালক ডা. বাকির হোসেনসহ প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীত ভূষণ দাস বলেন, মূলত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু এবং শেষ হওয়ার পরই আমরা নিজেদের আওতায় পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।
দেশের সবগুলো বিভাগের মতো বরিশাল বিভাগেও করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষার জন্য গত ৩০ মার্চ বরিশালে একটি পিসিআর মেশিন পাঠানো হয়। সাতদিনের মধ্যে কক্ষ সংস্কারের কাজ শেষ করে পিসিআর মেশিন স্থাপন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে চিকিৎসক ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের প্রশিক্ষণ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
এমএস/এএ