রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত সরকারি প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তির সাহিত্যকর্ম, নাট্যচর্চা, সংগীতচর্চা, রেকর্ড, শিল্পকর্ম, চলচ্চিত্র বিষয়ককর্ম, বেতার সম্প্রচার, টেলিভিশন সম্প্রচার, কম্পিউটার-সফটওয়্যারকর্মসহ বিবিধ মেধাস্বত্ব নিবন্ধন করে।
কপিরাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে গুরুত্ব দিচ্ছেন সৃজনশীল ও সচেতন ব্যক্তিরা।
প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৮ সালে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের জন্য আবেদন দাখিল হয় এক হাজার ৭৯৫ টি। ২০১৯ সালে তা গিয়ে দাঁড়ায় তিন হাজার ২০৫ টিতে। চলতি বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের জন্য আবেদন দাখিল হয়েছে প্রায় এক হাজার ২০০টি।
সব মিলিয়ে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে বলেই জানান এই অফিসের কর্মকর্তারা।
শুধু মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ নয়, বরং একই সঙ্গে আপিল মামলা নিষ্পত্তিতে কপিরাইট বোর্ডকে সহায়তা, পাইরেসি বন্ধকরণে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা ও ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডাব্লিউআইপিও)ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
অফিস সূত্র জানায়, এসব কাজের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি শিরোনামহীন, ওয়ারফেইজ, টিটুর ‘আমিতো ভালা না’সহ বিভিন্ন অভিযোগের নিষ্পত্তিও করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
কপিরাইট অফিসের একাধিক কর্মকর্তা জানান, অন্যের তৈরি কোনো কিছু কপি বা চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া পাইরেসি। আর বাংলাদেশে এই পাইরেসি একটা বড় সমস্যা। পাইরেসি বন্ধ করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা আছে, যা পরিচালত হয় কপিরাইট অফিসের মাধ্যমে। টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক বরাবর কোনো ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আবেদন জানালে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচলনা করে।
সব মিলিয়ে কপিরাইট নিবন্ধন করা হলে সৃষ্টিকর্মের নৈতিক ও আর্থিক অধিকার অর্থাৎ, মালিকানা সংরক্ষণ সহজ হয়। এছাড়া কপিরাইট নিবন্ধন আইনানুযায়ী বাধ্যতামূলক না হলেও, সৃষ্টিকর্মের মালিকানা নিয়ে আইনগত জটিলতা দেখা দিলে ‘কপিরাইট নিবন্ধন সনদ’ প্রমাণপত্র হিসেবে আদালতে ব্যবহৃত হতে পারে বলেও এসময় জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২০
এইচএমএস/এএ