এ সংবাদের শুরুটা এমনই হতে পারতো। কারণ, পহেলা বৈশাখের বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ।
এ বিষয়ে সোমবার (০৬ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় চারুশিল্পীরা কিন্তু শুধুমাত্র রংতুলি হাতে যুদ্ধে ছিলেন না। তাদের কেউ অস্ত্র ধরেছেন, কেউ ত্রাণ সংগ্রহের জন্য ছুটে বেরিয়েছেন। এখন আমাদের সেই অবস্থা। আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। যার জন্য চিকিৎসকদের পিপিই দেওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা সাড়ে তিন হাজার পিপিই বানাবো। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই দেড় হাজার পিপিই বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ছোট ছেলে প্রকৌশলী ময়নুল আবেদীনের পরিকল্পনায় হচ্ছে এ কাজটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, পিপিইগুলো তৈরি করা হচ্ছে।
নিসার হোসেন বলেন, এই পিপিইগুলো বারবার ব্যবহার করা যাবে। আমরা হু’র নির্দেশনা অনুযায়ী পিপিইগুলো তৈরি করেছি। যার জন্য বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহানা আখতার রহমান ও আইসিইউ বিভাগের প্রধান খন্দকার মানজারে শামীমের পরামর্শ নিয়েছি। নিয়েছি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনও।
জানা যায়, চারুকলা অনুষদের এই শুভ উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক শিল্পী। যাদের মধ্যে রয়েছে শিল্পী রফিকুন নবী, সৈয়দ আবুল বারক্ আলভী, মোহাম্মদ ইউনূস, লালারুখ সেলিম, নাঈমা হক, কাজী গিয়াসউদ্দিন, মোস্তাফিজুল হক, শিশির ভট্টাচার্য, শেখ আফজাল হোসেন, আহমেদ শামসুদ্দোহা, অনুপম হুদা, বিশ্বজিৎ গোস্বামী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২০
ডিএন/এইচএডি/