ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

না'গঞ্জে লকডাউন হলো যেসব এলাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২০
না'গঞ্জে লকডাউন হলো যেসব এলাকা নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে করোন ভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়েছেন। এ কারণে জেলার বিভিন্ন এলাকা ও বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। লকডাউন হওয়া এলাকাগুলোতে সরকারি ও স্বেচ্ছাসেবীরা মানুষের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছাতে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

২ এপ্রিল রাতে বন্দরের রসূলবাগ এলাকার করোনায় জেলায় প্রথম মৃত নারীর বাড়ির আশপাশে ১শ পরিবারের একটি গলি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া এলাকায় একটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছেন প্রশাসন। বাড়িটি করোনায় আক্রান্ত জেলার প্রথম মারা যাওয়া নারীর বাবার বাড়ি।   ৩ এপ্রিল রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের করোনায় এক নারীর মৃত্যু হয়। সেখানে লকডাউনের পর জ্বর ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের পুরাতন পালপাড়ায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। পরে ওই এলাকায় প্রবেশের দুই মুখ টিন দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। যাতে করে বহিরাগত কেউ প্রবেশ না করতে পারে কিংবা ওই এলাকার কেউ অপ্রয়োজনে বাইরে বেরোতে না পারে।

৩ এপ্রিল রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকার একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাসহ ৯টি পরিবারের ২৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে সেটি কার্যত লকডাউন করে দেয় পুলিশ। এ বাড়ির একজন নারী যিনি বাড়িওয়ালা তিনি বন্দরে করোনার মৃত নারীকে গোসল করিয়েছিলেন।  

৪ এপ্রিল শহরের আমলাপাড়া ও গলাচিপা এলাকার দুটি বাড়িতে সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে আমলাপাড়া এলাকার একজন রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপরেই ওই বাড়িতে সতর্কাবস্থা জারি করা হয়। আর গলাচিপার বাড়িতে তিনজন রয়েছেন যারা বন্দরে ৩০ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া নারীর আত্মীয় স্বজন।   ৪ এপ্রিল রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের উত্তর চাষাঢ়ায় একটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।   ১ এপ্রিল আগে একজন ভারত থেকে এসে গোপনে এ বাড়িতে উঠেন। তারপর থেকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা থাকলেও তিনি তা না থেকে ঘুরে বেড়ান।

৪ এপ্রিল দিনগত রাত দেড়টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার বড় আমবাগান সুচিন্তানগরের উত্তরে মাদ্রাসার শেষমাথা হেদায়েতউল্ল্যাহ খোকনের বাড়ি থেকে দক্ষিণে বাংলাবাজার ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত, পূর্বে হাসেমবাগ লেন মোড় থেকে পশ্চিমে প্রধান বাড়ি মেইন রোড পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ এলাকায় এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

৫ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ফতুল্লা পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় একটি বাড়ি ও পাশের সড়কটি লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বাড়িটিতে করোনা আক্রান্ত এক রোগী শনাক্ত হওয়ায় ওই লকডাউনের ঘোষণা দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক।

৫ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের নন্দিপাড়া এলাকার ৫ শতাধিক পরিবারকে লকডাউন করে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও জেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির সদস্যরা। এ এলাকায় একজন ব্যক্তি করোনার নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ আসছে। এছাড়াও তার সংস্পর্শে এসেছে আরো ৮ থেকে ১০টি পরিবার। যার জন্য আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ৫জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এলাকাটি লকডাউন ঘোষণা করে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।