রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু করেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু। এ সময় জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশুও অভুক্ত কুকুরগুলোকে খাওয়ান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে রাজশাহী মহানগরে সব ধরনের উৎসব ও অনুষ্ঠান বন্ধ। খাবারের হোটেলগুলোও বন্ধ। তাই খাবারের উচ্ছিষ্ট আর জুটছে না কুকুরের ভাগ্যে। দোকানপাট বন্ধ, তাই ভালোবেসে কেউ দুয়েক প্যাকেট বিস্কুটও খেতে দিতে পারছেন না। এছাড়া করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কুকুরগুলোকে বাড়ির আশপাশে ভিড়তে দিচ্ছেন না অনেকে। ফলে অভুক্ত থাকছে কুকুরগুলো। এ অবস্থায় অভুক্ত কুকুরগুলোকে খাওয়ানো শুরু করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।
রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু জানান, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশনা অনুযায়ী অভুক্ত প্রাণীগুলোকে খাওয়ানো শুরু হয়েছে। তবে রাস্তায় শুধু কুকুরই পাওয়া যাচ্ছে। আপাতত খাবার হিসেবে তাদের দেওয়া হচ্ছে পাউরুটি ও বিস্কুট। পরে অন্য খাবার দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। প্রথম দিন তারা মহানগরীর সাহেববাজার ছাড়াও সাগরপাড়া, বটতলা, বেলদারপাড়া ও শিরোইল স্টেশন এলাকায় কুকুরকে খাইয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ কার্যক্রম চলবে বলেও জামান রাসিক জনসংযোগ কর্মকর্তা।
এর আগে গত শুক্রবার (৩ এপ্রিল) ভোরে রাসিক পরিচালিত শহীদ এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার হরিণের শেডে হানা দেয় অভুক্ত পাঁচটি কুকুর। ক্ষুধার্ত, হিংস্র কুকুরগুলো চারটি হরিণকে ছিঁড়ে খায়। এর মধ্যে একটি মা হরিণ ও তিনটি হরিণ শাবক ছিল। এ ঘটনার পরই অভুক্ত কুকুরকে খাওয়ানোর উদ্যোগ নিল রাজশাহী সিটি করপোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
এসএস/এফএম