রোববার (৫ এপ্রিল) ঢাকার অলিগলি ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
রোববার বাংলাদেশে নতুন করে ১৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারও গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা দিয়েছে। সেই ছুটি দুই দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে এখনো গা-ছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে পাড়ার দোকানগুলোতে আড্ডা দিচ্ছেন তারা।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ছোলমাইদ, ভাটারা, নতুন বাজার, নূরের চালা, বাড্ডা ও মিরপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাড়ার মুদি দোকানগুলোতে ১৫-২০ জন করে আড্ডা দিচ্ছেন। কেউই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখছেন না। এমনকি অনেক ফার্মেসিতেও নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরকার জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে, তারপরও দোকানে বসে কেন আড্ডা দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নূরের চালা এলাকায় একটি দোকানে আড্ডারত হোসাইন বলেন, ‘করোনা আমাদের কিছুই করতে পারবে না। এগুলোর ভয় আমরা করি না। হায়াত ফুরিয়ে গেলে এমনিতেই মরতে হবে। তাই মৃত্যুর ভয় করি না। ’
করোনা ভাইরাস রোধে নিরাপদ দূরত্ব কেন বজায় রাখছেন না কেন জানতে চাইলে বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা সাইফুল বলেন, ‘করোনা হওয়ার হলে এমনিতেই হবে। দূরত্ব বজায় রাখলে যদি কাজ হতো, তাহলে ইউরোপ আমেরিকায় এত মানুষ মরছে কেন?’
কথা বলে জানা যায়, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার ব্যাপক অভাব রয়েছে। অনেকে এখনো বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
টিএম/এফএম