রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার খান্দার চারতলা মোড় এলাকা থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সদর উপজেলার খান্দার চারতলা বাসিন্দা ফজলুর রহমানের কন্যাশিশু লুনা খাতুন (৭) ঠনঠনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো। শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে সে খান্দার বাজারে তার দাদার দোকানে যায়। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান না পেয়ে আশপাশের এলাকায় মাইকিং করেনে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খান্দার চারতলা মোড় এলাকার একটি গলির ভেতর ওই শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, মরদেহের গলায় ও কপালে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয়। একারণে মরদেহ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ কারণ অনুসন্ধানে নামে এবং কন্যাশিশু ধর্ষণের পর হত্যায় জড়িত সন্দেহে ওই কিশোরকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক কিশোর ওই কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে নিহত শিশুর বাবা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
কেইউএ/আরআইএস/