শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ওই বৃদ্ধের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ এলাকায়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে বাড়ির চারদিকে অবস্থান নেয়। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য সেখানে একটি টিম পাঠানোর কথা থাকলেও সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে কেউ যায়নি।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এক ব্যক্তি বগুড়া শহরে একটি হোটেলে বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত। সে শহরের পুরান বগুড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। ৭০ বছর বয়সী ঐ ব্যক্তি গত ২৪ মার্চ বগুড়ায় ছেলের বাসায় বেড়াতে আসেন। শনিবার দুপুরে ওই বৃদ্ধ ব্যক্তি খাবার খেয়ে ঘরে বিশ্রাম নিতে যান। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
বৃদ্ধের ছেলে জানিয়েছেন, তার বাবার কোনো জ্বর ছিল না। তিনি বলেন, আমার আব্বা বহু বছর ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। শীত কিংবা গরম বাড়লে আব্বার শ্বাস কষ্টও বাড়ে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এস বদিউজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, শ্বাসকষ্টে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়।
বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি জানার পর পরই নমুনা সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এখনই বাড়িটি লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মেডিকেল টিমের সুপারিশ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গাওসুল আজিম চৌধুরী বাংলানিউজেকে জানান, মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি টিমকে সেখানে পাঠানো হচ্ছে। লকডাউন ঘোষণার প্রয়োজন আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
কেইউএ/এসআইএস