শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সূত্রাপুর বাজারে কথা হচ্ছিলো লিয়াকত মোল্লার সঙ্গে। তিনি বলেন, ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগছে না তাই ঘর থেকে বের হয়েছি।
দুপুরে গেন্ডারিয়ার আসগর আলী হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায় অনেককেই। তাদেরই একজন ওয়াসিম বিন জসিম। তিনি বলেন, ঘরে কতক্ষণ থাকা যায়! ভালো লাগতেছে না। তাই বের হইছি।
এছাড়াও শনিবার রাজধানীর কুড়িল, রামপুরার কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, দুই পাশেই পাঁচ-দশ, পনেরো-বিশ বা কোথাও তারও বেশি মানুষ একত্রিত হয়ে বসে আছেন। তবে এই ভিড় ছিল ত্রাণের আশায়। তবে এদের বেশিরভাগের মুখে ছিল না মাস্ক। সেইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি তাদেরকে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে যারা অতিপ্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অনেককেই রাস্তায় রিকশা,সিএনজি বা অফিসের গাড়ি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এক রিকশায় উঠেছেন একাধিক যাত্রী। মোটরসাইকেল বা সিএনজিতেও ছিল একাধিক যাত্রী।
এদিন সকাল থেকেই পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় ছিল সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট। যানবাহন ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। হেঁটে যারা ফুটপাত দিয়ে যাচ্ছিলেন তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তবে এতকিছুর মাঝেও অনেকেই বের হয়েছেন ঘর থেকে। মানছেন না ঘরে থাকার নির্দেশনা।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
ডিএন/এসআইএস