অসহ্য যন্ত্রণায় হাসপাতালের বেডে কাতরানো ২০ বছর বয়সী গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার বাংলানিউজকে জানান, স্বামীর চাওয়া যৌতুকের চাহিদা মেটাতে না পারায় তার ওপর এমন নির্যাতন করা হয়েছে।
সাদিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের আলমাছ মিয়ার মেয়ে।
সর্বশেষ ২৯ মার্চ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াল তাণ্ডব। যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় তার স্বামী ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে মারধর করে এবং লোহা গরম করে মুখ, হাত, পা, কোমরসহ বিভিন্ন অঙ্গে ছ্যাকা দেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মজলিস মিয়া আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে সাদিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরে তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ধরমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান বাহার উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, নির্যাতনের বিষয়টি সাদিয়ার পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। রফিকুল ইসলামের বাড়ির লোকজন খুবই উশৃঙ্খল।
নাসিরনগর থানার পরিদর্শক তদন্ত কবির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২০
এনটি
