শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কড্ডার মোড়, নলকা ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় শত শত পোশাক শ্রমিকদের ভিড় দেখা যায়।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক উপেক্ষা করে মানুষগুলো গাদাগাদি করে বাস কিংবা ট্রাকে উঠে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
এসময় কথা হয় পোশাক শ্রমিক রুবেল, সাইফুল, রাজু, সাবিনা, আরজু মনি, আরমান ও সোহেলের সঙ্গে। তারা জানায়, শনিবার পর্যন্ত ছুটি ছিল। রোববার পোশাক কারখানাগুলো খুলবে। তাই আজকের মধ্যেই ঢাকায় পৌঁছাতে হবে তাদের। কেননা কারখানায় না গেলে অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন কেটে রাখবে। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে বাস না পেয়ে ট্রাকেই যেতে হচ্ছে।
শ্রমিকরা জানায়, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়েই ট্রাক-পিকআপ ভ্যানে দিগুণ ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। যেখানে আগে বাসে ১০০, থেকে ১৫০ টাকায় যেতে পারতাম। সেখানে ট্রাক-পিকআপ ভ্যানে নেওয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। আর দু’একটি লোকাল বাস থাকলেও ৩০০/৪০০ টাকা ভাড়া দাবি করছেন তারা।
সাভার এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিক আমিনুল বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছি। দু’একটি লোকাল বাস, ট্রাক-পিকআপ ভ্যান মিললেও সেটা আবার চান্দুরা পর্যন্ত যাবে। বাকি পথ কীভাবে যাব? তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। সাভার বা নবীনগর যাবার জন্য কোনো গাড়ি এখন পর্যন্তও পাচ্ছি না।
সিরাজগঞ্জ থেকে চান্দুরাগামী সুমাইয়া পরিবহনের চালক আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৬ মার্চের পর শনিবার এই প্রথম গাড়ি বের করলাম। যাত্রী অনেক রয়েছে। তবে রাস্তায় বাধা আছে কি-না সেটা বলা মুশকিল।
স্বাধীন এক্সপ্রেস বাসের সুপার ভাইজার আব্দুল খালেক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। পথে পথে পুলিশের বাধা রয়েছে। তাই ভাড়া কিছুটা বেশি নিতে হচ্ছে।
ট্রাকচালক জীবন বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাকে মানুষ তোলা নিষেধ আছে। যাত্রীরা বিপদে পড়েছেন। তাই তাদের সুবিধার্থে আমরা তাদের নিয়ে যাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে যেহেতু পোশাক কারখানা খোলা হচ্ছে, সেদিকে দৃষ্টি রেখে আমরা পোশাক শ্রমিকবাহী কোনো যানবাহনকে বাধা দিচ্ছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২০
এসআরএস