শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাতে তার মৃত্যু হয়। তিনি ব্যবসায়িক কাজে ভারত ও চীনে যাতায়াত করতেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও স্থানীয় কাউন্সিলর আফসানা আফরোজ বিভা বাংলানিউজকে বলেন, ওই ব্যবসায়ী বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতেন। তিনি গত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে সর্দি, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলেও গত ১ এপ্রিল তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ঢামেক হাসপাতালে যাওয়ার পর সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে রাতেই বাসায় ফিরে আসেন। এরপর থেকে বাসায় ছিলেন তিনি। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাত ১টায় হঠাৎ বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, সিভিল সার্জন ও সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এলাকাবাসীকে বলা হয়েছে তারা মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ মোস্তফা আলী বাংলানিউজকে বলেন, ওই ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমরা স্থানীয়দের বলে মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে ওই বাড়িতে যাতে জনসমাগম না হয় সেজন্য সবাইকে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২০
আরআইএস/