এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নতুন চারজনকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। তারা চারজনই ভারত থেকে রাজশাহী গেছেন।
দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আযাদ নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সন্দেহভাজন ওই নার্স বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন। তার শরীরের তাপমাত্রা বেশি। রামেক হাসপাতালে আসার পর তাকে সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়। করোনা উপসর্গ থাকায় পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
ডা. আজিজুল হক আযাদ বলেন, তিনি রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) তিনি রামেক হাসপাতালে আসেন। রামেক হাসপাতালে ভর্তি নেওয়ার পর শনিবার তাকে আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে রামেক হাসপাতালের অবজারভেশনে ১২ জন রোগী আছেন। এদের মধ্যে আটজনকে আজ ছাড়পত্র দেওয়া হবে। বাকি চারজনকে রাখা হবে।
রামেক হাসপাতাল করোনা ইউনিটের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস ও রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. খলিলুর রহমান।
এদিকে রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও চারজনকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে। এ নিয়ে রাজশাহী জেলায় শনিবার পর্যন্ত ৩১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
দুপুরে রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. এনামুল হক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নতুন চারজনই ভারত থেকে রাজশাহী গেছেন।
এছাড়া গত ১ মার্চ থেকে রাজশাহী জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে আওতায় আনা হয় এক হাজার ৮০ জনকে। এরমধ্যে ১৪ দিন করে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পর ছাড়পত্র দেওয়া হয় ৭৬৬ জনকে। ফলে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছে ৩১৪ জন। তবে এখনও রাজশাহীর কোথাও কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।
এরমধ্যে কেবল রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকাতেই রয়েছেন ১০২ জন। এছাড়া
বাঘা উপজেলায় ২২ জন, চারঘাট উপজেলায় ৪৪ জন, পুঠিয়া উপজেলায় ৪০ জন, দুর্গাপুর উপজেলায় ১৪ জন, বাগমারা উপজেলায় ৩৪ জন, মোহনপুর উপজেলায় ৫২ জন, তানোর উপজেলায় ১৬ জন, পবা উপজেলায় ২৩ জন ও গোদাগাড়ীতে ২৭ জন বিদেশফেরত ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২০
এসএস/আরবি