শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলানিউজকে একথা জানিয়েছেন।
ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরীক্ষায় নারায়ণগঞ্জে মৃত নারীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
প্রবাসীর সংস্পর্শে না এলে এটি ‘লোকাল ট্রান্সমিশন’ কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি লোকাল ট্রান্সমিশন নাকি এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে, যদি তিনি প্রবাসীর সংস্পর্শে না এসে থাকে তাহলে এটি লোকাল ট্রান্সমিশন হতে পারে। তবে আমরা এখনও নিশ্চিত নই, কিভাবে তার শরীরে এ ভাইরাস এসেছে। নিশ্চিত না হয়ে বলা যাবে না।
নারায়ণগঞ্জে কোনো নতুন আক্রান্ত নেই। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করছি, সব ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবো-যোগ করেন সিভিল সার্জন।
এর আগে ৩০ মার্চ বন্দরের রসুলবাগ এলাকায় ৪৫ বছর বয়সী এক নারী ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর। ২ এপ্রিল রিপোর্ট আসে ওই নারীর দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ছিল। পরবর্তীতে ওই নারীর বাড়ি সংলগ্ন একশ বাড়ি লকডাউন করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। এসময় আইইডিসিআরের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জেলাটিতে নমুনা সংগ্রহের পর ৮ মার্চ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে দুজনকে চিহ্নিত করে আইইডিসিআর। যারা এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পরে ২৩ মার্চ জেলায় আরও একজন আক্রান্ত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিলেন জেলা সিভিল সার্জন। তিনিও ১ এপ্রিল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২০
ওএইচ/