ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘করোনায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ভালো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২০
‘করোনায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ভালো’

ঢাকা: করোনা মোকাবিলায় সার্ক ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সব থেকে ভালো বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের ৩ স্তরের পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি। 

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ আয়োজিত এক ভিডিও প্রেসকনফারেন্সে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।  

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্কভুক্ত ৮টি দেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সব থেকে ভালো দাবি করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলো বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশকে  দেখেন, তাদের প্রস্তুতি কী, তাদের অবস্থা কী? তাদের থেকে আমাদের প্রস্তুতি ভালো।

আমাদের প্ল্যান- এ, বি এবং সি ছিল। প্ল্যান ‘এ’ হচ্ছে, আমরা মনে করেছিলাম বাংলাদেশে বেশি কেস হবে না। কারণ উহান থেকে প্রথম যে ব্যাচটা এসেছিল, আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ হই। কিন্তু পরে যখন অনেক দেশ থেকে হাজারে হাজারে, লাখে লাখে প্রবাসী এলো তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনা প্রবেশ করলো। তখন ছিল প্ল্যান ‘বি’। দ্রুততম সময়ে যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে, এটা হচ্ছে প্ল্যান ‘সি’।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এখনই দেশের সবখানে করোনা শনাক্তকরণে পরীক্ষা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এ পরীক্ষা পরিচালনার জন্য দেশের সবখানে যতো পরীক্ষাকেন্দ্র দরকার তা নেই।
 
‘দেশবাসীর মাঝে একটা উদ্বেগ আছে, আমাদের দেশে  করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে অনেক কম, আমরা যেসব কেন্দ্রে এ পরীক্ষা করি তার সংখ্যাও কম। কিন্তু আজকেই যদি বলা হয় ‘টেস্ট, টেস্ট, টেস্ট’, আমরা কিন্তু তা পারবো না, কারণ আমাদের ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করতে হয়, এর জন্য যন্ত্রপাতি কিনতে হয়, মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে হয়। এই প্রস্তুতিগুলো লাগে। ’
 
বিগত ২ মাসে কেন পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হলো না এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকে। এই কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস তাদের কাছেও নতুন। আজ তারা করোনা সম্পর্কে যা জানে, কাল সেটি ভুলও প্রমাণিত হতে পারে। তারা প্রথমে আমাদের এভাবে টেস্ট করতে বলেনি। কিন্তু যখন বিশ্বে ছড়িয়ে গেল, তখন তারা বেশি বেশি টেস্ট করার পরামর্শ দিলো।
 
এ প্রসঙ্গে আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি গাইডলাইন আছে- সিভিয়ার রেসপিরেটরি ইনফেকশন ম্যানেজমেন্ট। এই গাইডলাইনের আলোকে প্রথমে আমাদের টেস্ট করতে বলা হয়নি। এ গাইডলাইনগুলো আগের, যা এখন কাজে লাগছে না। সারা পৃথিবীর পূর্ব-জ্ঞান এখন করোনার ক্ষেত্রে কাজে লাগছে না। শুরুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনায় বলা ছিল, যারা সরাসরি আক্রান্ত শুধু তাদের সংস্পর্শে আসাদের পরীক্ষা করতে হবে। কিন্তু পরে তারা সেই নির্দেশনা পরিবর্তন করে যত বেশি সংখ্যক মানুষকে পারা যায় পরীক্ষার নির্দেশনা দেয়। আমরা এটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করেছি।  

‘অত্যন্ত অল্প সময়ে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আজ ঢাকা শহরে ৯টি প্রতিষ্ঠানে করোনার পরীক্ষা করতে সমর্থ হয়েছি আমরা। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশের প্রতিটি বিভাগে করোনা শনাক্তকরণে পরীক্ষা করার সক্ষমতা সম্প্রসারণ করবো। এপ্রিলের মধ্যেই ২৮টি প্রতিষ্ঠানে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২০ 
এসএইচএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।