কোভিড-১৯ এর উপসর্গ থাকায় ওই পরিবারে পাঁচ নারী, দুই পুরুষ, পনের মাস বয়সী ও পাঁচ মাস বয়সী দুই শিশুসহ মোট নয় জনকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পাল ওই প্রবাসীর বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করেন।
সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইনুল ইসলাম জানান, গত ২২ মার্চ ওই পরিবারের একজন সদস্য দুবাই থেকে দেশে এসেছেন।
এরই মধ্যে পরিবারের কয়েকজন সদস্য সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে ওই পরিবারের নয় সদস্যকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে ওই প্রবাসী বাড়ির বাহিরে থাকায় তাকে আনা সম্ভব হয়নি। তাকে খুঁজতে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, প্রবাসীর পরিবারের ওই সদস্যদের পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কোয়ারেন্টিন সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো।
কোয়ারেন্টিনের সময় শেষ হলে তাদের সবার শারীরিক অবস্থা দেখে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পাল জানান, লকডাউন করা বাড়িটি বর্তমানে প্রশাসনের নজরদারিতে রয়েছে। এলাকায় সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
আরএ