বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজাশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আগের দিনের রিপোর্ট যথারীতি ঢাকার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।
ডা. নওশাদ আলী বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) ভাইরোলজি বিভাগের করোনা ল্যাবে আজ নতুন করে আরো তিনজনের নমুনা এসেছে। এরমধ্যে দু’টি রাজশাহীর ও একটির বগুড়ার। বগুড়ার ওই কিশোর মারা গেছে। এর আগে প্রথম দিন পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রথমদিনে বগুড়ার চারজন ও রাজশাহীর একজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
রামেক অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার অভিজ্ঞতা তাদের টিমের কারোরই ছিল না। তবে ঢাকার অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানরা অনলাইনে প্রশিক্ষণ দিয়ে রামেকের এই ৩০ জনের টিমকে প্রস্তুত করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই নানান শঙ্কা থাকবে। এরপরও তারা সফলভাবে কাজ করছেন। যা অবশ্যই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে৷
তিনি আরো জানান, রামেকের ভাইরোলজি বিভাগের পাঁচটি কক্ষে বায়োসেফটিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা থেকে টেকনিশয়ানদের দু’টি দল পাঁচদিন কাজ করে ল্যাবটি প্রস্তুত করেছেন। করোনা শনাক্তে পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন স্থাপনের কাজ শেষ হয় গত মঙ্গলবার (৩১ মার্চ)।
এই ল্যাবে একটি রিএজেন্ট দিয়ে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা সম্ভব। নমুনা সংগ্রহ করে তা একত্রে পিসিআর মেশিনে দিয়ে রিপোর্ট তৈরিতে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগছে। কিন্তু রামেকে নমুনা কম। তাই রিএজেন্ট বেশি লাগছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. মো. বুলবুল হাসান বলেন, কলেজের মাইক্রোবায়োলজি, ভাইরোলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ৩০ চিকিৎসক ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এই কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। সবকিছু ঠিকঠাক চলছে।
বর্তমানে তাদের কাছে ২৪০টি কিট ও ২০০ পিপিইসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রয়েছে। মাইক্রোবাইলজি ও ভাইরোলজি বিভাগ যৌথভাবে ল্যাবটি পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এসএস/এএ