সরকারি নির্দেশনা অনুসারে মার্কেট, বিপনী বিতান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সিলেট নগরে যেনো ক’দিন থেকেই বেড়েছে মানুষের চলাচল। প্রায় এক সপ্তাহ সরকারি নির্দেশনায় সব বন্ধ থাকলেও দু’দিন ধরে জনসাধারণের চলাচল বেড়েছে সিলেটে।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) নগরের আম্বরখানা ও বন্দরবাজার এলাকায় অবাধে রিকশা, প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ঠেলাগাড়িসহ নানা ধরনের যান যাত্রী ও পণ্য নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে, করোনা ভাইরাস থেকে মানুষকে সুরক্ষায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। বুধবার (০১ এপ্রিল) আইএসপিআরের এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোয়ারেন্টিন এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর অবস্থানে যাবে সেনাবাহিনী। স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার অংশ হিসেবে দেশের সব স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে। সরকার প্রদত্ত নির্দেশাবলী অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) সেনা সদস্যদের নগরের বিভিন্ন স্থানে টহল দিতে দেখা গেছে। এসময় মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা ছাড়াও নগরের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি দিয়ে রাস্তায় জীবাণুনাশক স্প্রে করতে দেখা যায় তাদের।
পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদেরও নগরে টহল দিতে দেখা গেছে। র্যাব সদস্যরা গাড়ি ও মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে এবং মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করছেন।
র্যাব-৯’র কর্মকর্তা সহকারি পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার রায় সাংবাদিকদের জানান, দেশের প্রয়োজনে মানুষের প্রয়োজনে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে। আমাদের প্রয়োজন প্রত্যেককে সচেতনতা অবলম্বন করা। এ জন্য র্যাবের ৪৭০ সদস্য সিলেট জুড়ে মাঠে নেমেছে। প্রতিদিনের টহল ছাড়াও মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়াও মানুষের মাঝে হ্যাণ্ড ওয়াশিং স্যানিটাইজেশন ও ক্রান্তিলগ্নে ত্রাণ বিতরণও করা হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এনইউ/এবি