বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণরাজাপুর গ্রামে স্বামী হাইজিতের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শেফালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণরাজাপুর গ্রামের হাইজিতের স্ত্রী এবং পারইল ইউনিয়নের বিশিয়া গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে।
গৃহবধূর পরিবার বাংলানিউজকে জানায়, কয়েক বছর আগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণরাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে হাইজিতের সঙ্গে শেফালীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকসহ নানা কারণে শেফালীর উপর অত্যাচার করে আসছে । এর আগে এই বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। পরিবারের দাবি শেফালীকে হত্যা করে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
শেফালীর স্বামী হাইজিত জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতে ঘুমিয়ে পড়ি। বুধবার সকালে উঠে দেখি শেফালী বাড়ির পাশে টয়লেট সংলগ্ন একটি গাছে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে আমি মরদেহ নিচে নামিয়ে পুলিশকে খবর দেই। কি কারণে শেফালী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তা আমার জানা নেই।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এছাড়া নিহতের পক্ষ থেকে কেউ মামলা দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
এমআরএ