বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে বগুড়া থেকে আসা তিনজন এবং রাজশাহীর একজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

তিনি জানান, শনাক্তসহ বিভিন্ন জটিল রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাজশাহীতে পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন আসে। এরপর রামেকের ভাইরোলজি বিভাগের পাঁচটি কক্ষে ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ল্যাব প্রস্তুতের পর মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) পিসিআর মেশিন স্থাপন কর হয়। বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুর থেকে শুরু হয় নমুনা পরীক্ষা।

ল্যাবের ইনচার্জ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. সাবেরা গুলনাহার বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা থেকে টেকনিশিয়ানদের দু’টি দল নিরলসভাবে পাঁচদিন কাজ করে ল্যাবটি প্রস্তুত করেছেন। এরই মধ্যে তারা ২৪০টি কিটও পেয়েছেন। ল্যাবে একদিনে সর্বোচ্চ ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। ফলাফল প্রকাশ করতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা। আর রামেকেই রাজশাহীর আট জেলার করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা হবে।

এদিকে, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী জানিয়েছেন, অনলাইন প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি, ভাইরোলজি ও বায়ো-কেমিস্ট্রি বিভাগের ৩০ চিকিৎসক ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট।

এরই মধ্যে তারা প্রশিক্ষিত হয়ে উঠেছেন। ল্যাব প্রস্তুত হলেও সুরক্ষার জন্য তাদের এন-নাইনটি ফাইভ মাস্ক না থাকায় বুধবার পরীক্ষা শুরু করার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছিল। পরে রামেক হাসপাতাল থেকে বিশেষ এ মাস্ক নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারপরই পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকা থেকে মাস্ক পেলে তা আবার হাসপাতালকে দেবে কলেজ।

রামেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. বুলবুল হাসান বলেন, ল্যাবটিতে সবকিছু ঠিকভাবে চালু হয়েছে। মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি বিভাগ যৌথভাবে ল্যাবটি পরিচালনা করবে। তবে কেউ একা একা এসেই এখানে নিজের নমুনা পরীক্ষা করতে পারবেন না। করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগের জন্য রামেক হাসপাতালে ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি কারও নমুনা পরীক্ষার সুপারিশ করলেই কেবল তার নমুনা পরীক্ষা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
এসএস/ওএইচ/