জামালপুর পুলিশ সুপার (এসপি) দেলোয়ার হোসেন মঙ্গলবার রাতে বাংলানিউজকে জানান, ‘করোনা রোগী তল্লাশির নামে কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ওই মেয়ের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি, তিনি সৎ বাবা, বাড়িতে আসর বসিয়ে গাঁজা সেবন করতেন। সেদিনও বাড়ির পাশে ওই ৫ যুবককে নিয়ে মেয়েটির বাবা গাঁজা সেবন করছিলেন।
মেয়েটির বাবা নিজের দোষ আড়াল করতে পুলিশ পরিচয়ে করোনা তল্লাশির নামে ঘরে ঢুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার কথা সাংবাদিকদের বলেছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ডাক্তারি রিপোর্ট, এলাকায় তদন্ত ও গ্রেফতারকৃত আসামি মিজানের রিমান্ড মঞ্জুর হলে প্রকৃত ঘটনা বের করতে পারবো। এ ঘটনায় ঊধর্বতন কর্তপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে মামলার সর্বশেষ অগ্রগতি ও প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন জামালপুরের পুলিশ সুপার।
এদিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মেয়েটি বাংলানিউজকে জানায়, পুলিশ পরিচয়ে করোনা তল্লাশির নামে ঘরে ঢুকে ৪ যুবক আমাকে তুলে নিয়ে যায়, এসময় আমার বাবা-মা বাধা দেয়। আমার বাবার গলায় ছুঁরি ধরে মাকে মারধর করে আমাকে ক্ষেতে ফেলে দলবেধে ধর্ষণ করে।
৪ জন ধর্ষণ করার পর আরেকজনকে ফোন দিয়ে ডেকে আনার পর সেও ধর্ষণ করে। এই ৫ জনের মধ্যে মিজান ও পুশনকে চিনতে পেরেছে মেয়েটি। মেয়েটির বাবা-মাও একই বক্তব্য দিয়েছে।
মুখ খুলতে ও মামলা না করার জন্য প্রভাবশালীরা চাপ প্রয়োগ করছে বলেও জানান তারা।
সরেজমিনে খোঁজ খবর, ভিকটিম ও ভিকটিমের বাবা-মার বক্তব্য ও পুলিশের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে রির্পোট তৈরি হয়েছিল। নিউজটি বাংলানিউজের প্রকাশ হওয়ার পর তা ভাইরাল হয়।
জামালপুরের নানা শ্রেণীপেশার মানুষ, মানবাধিকার কর্মী ও সচেতন মহল বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষিদের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির আওতায় এনে এ ঘটনার বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান।
** করোনা রোগী তল্লাশির নামে কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
আরএ