জানা যায়, ভারত সরকার গত ১৩ মার্চ থেকে বাংলাদেশিসহ বিদেশিদের ভারতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরবর্তীকালে ১৫ মার্চ দুই দেশের মধ্যে বাস-রেল ও বিমানে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ করে দেয়।
তবে সতর্কতা হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বা পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচলে কোনো বিধি নিষেধ জারি করা হয়নি। ফলে এখনও সচল রয়েছে ভারত থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ফেরত আসা এবং ঝুঁকি নিয়ে বন্দরে আমদানি পণ্য খালাস কার্যক্রম। এতে সবাই আছে আতঙ্কের মধ্যে।
বন্দরবাসী দিপু রহমানসহ কয়েকজন বলেন, প্রতিবেশী দেশ সংক্রমণ বিস্তাররোধে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য,পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার বন্ধ ছাড়াও লকডাউন করেছেন। সংক্রমণ এড়াতে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ও পাসপোর্টযাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। তা না হলে বড় খেসারত আমাদের গুণতে হবে।
বন্দরের শ্রমিক ও নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্য বলেন, বন্দরের ডাকে এখনও তারা ঝুঁকির মধ্যে বন্দরে পণ্য খালাস ও নিরাপত্তার কাজ করছেন। বন্দর, কাস্টমস বা ব্যবসায়ী কেউ তাদের মাস্ক বা নিরাপদ সামগ্রী দেয়নি। আর এত দাম দিয়ে এসব কেনা শ্রমিকদের পক্ষে সম্ভব না। এতে তারা ও আতঙ্কের মধ্যে আছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, ভারত থেকে প্রতিদিনই যাত্রীরা ফিরছেন। যারা ফিরছেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। তবে যাত্রীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কম।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাওয়া বন্ধ আছে। ভারত থেকেও আসছেনা ভারতীয়রা। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এখন পর্যন্ত ভারত থেকে স্বাভাবিকভাবে ফেরত আসছেন সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার জানান, ভারত সরকারের লকডাউনে এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ আছে। তবে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় বেনাপোল বন্দর এখনও খোলা আছে। ব্যবসায়ীরা কেউ পণ্য খালাস নিলে দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ভারত ফেরত ২ লাখ ১০ হাজারের মত যাত্রী ও ভারতীয় ট্রাক চালককে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে যাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এরা সবাই ছিল করোনা ঝুঁকি মুক্ত।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
আরএ