এ ঘটনায় ঘাতকের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক বুলু হোসেনসহ ৪ জনকে আটক করেছে।
ওমর আলী মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধর্মচাকী গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত মজের আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাত ১০টার সময় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. এম কে রেজা বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহত পারভীনকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রাতেই তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঘাতক বুলু হোসেন, তার স্ত্রী সবে খাতুন, ছেলে জাহিদ হোসেন, জাহিদ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।
সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ধর্মচাকী গ্রামের ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দীন নিহতের পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানান, বিকেলের দিকে ওমর আলী একই গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে কৃষক বুলু হোসেনের জমি থেকে কিছু গমের নাড়া নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বুলু হোসেন ও তার বাড়ির লোকজন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওমর আলীর বাড়িতে যান। জমি থেকে না জানিয়ে গমের নাড়া কেনো নিয়ে এসেছেন জানতে চান। এসময় ওমর আলী নিজের ভুল স্বীকার করে তার কাছে ক্ষমা চান।
পরে ওমর আলীকে নানাভাবে গালিগাল করেন বুলু হোসেন তার বাড়ির লোকজন। ওমর আলী প্রতিবাদ করলে বুলু হোসেনের হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পরে লোকজন ছুটে এলে বুলু হোসেন পালিয়ে যান। স্থানীয়রা ওমরকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এদিকে ভ্যানচালক ওমর আলীকে হত্যার ঘটনায় ঘাতক বুলু হোসেনের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় স্থানীয়রা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে কে বা কারা তার ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে গাংনীর বামন্দী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের একটি দল এসে আগুন নেভায়।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই কে বা কারা ঘাতকের বাড়িতে আগুন দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নেভান।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
আরএ