ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী খুব অ্যাক্টিভ, সকালেই সারাদেশের খোঁজ নিয়েছেন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী খুব অ্যাক্টিভ, সকালেই সারাদেশের খোঁজ নিয়েছেন

ঢাকা: ‘প্রধানমন্ত্রী খুবই অ্যাক্টিভ। সকালে তিনি আমাকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। একইসঙ্গে জিজ্ঞেস করেছেন, মাঠপর্যায়ে ঠিকমতো খাবার পৌঁছেছে কি-না? সব ঠিকঠাক আছে কি-না’

করোনা ভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সারাদেশের মাঠপর্যায়ে কাজ করছে সিভিল প্রশাসন। সঙ্গে পুলিশ।

ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত রাখতে দুই প্রশাসনের সঙ্গে রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষও এগিয়ে এসেছেন।

জাতির এই দুর্যোগের মুহূর্তে শেখ হাসিনার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের মন্ত্রী-সচিবরা।

সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সারাদেশে দিনমজুরসহ কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে ত্রাণ তথা নগদ অর্থ, চাল বিতরণ করছে। এসব কাজে নিয়োজিত রয়েছেন জেলা প্রশাসক ও উপাজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও।

সারাদেশের মানুষের জন্য ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনার কাছে সকালেই বেশকিছু নির্দেশনা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়টির প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

ফরহাদ হোসেন মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কন্ট্রোল রুম সমন্বয় করছি। ফোন এবং ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যে অনেক ব্যস্ত সময় কাটছে।

‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছে। তিনি বিভিন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। সে মোতাবেক সমস্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। ’

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই অ্যাক্টিভ। আজ সকালেও তিনি আমাকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। জিজ্ঞেস করেছেন, মাঠপর্যায়ে ঠিকমত খাবার পৌঁছেছে কি-না? সব ঠিকঠাক আছে কি-না’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জনপ্রশাসন হতে নির্দেশনা দিচ্ছি। দেখছি, ত্রাণ ও খাবার মেটেরিয়ালস ঠিকমতো পাচ্ছে কি-না।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাঠপর্যায়ে সিভিল প্রশাসন এবং পুলিশ মাঠ প্রশাসনের কাজগুলো করে বেশি। এজন্য তাদের (সিভিল প্রশাসন) নির্দেশনার কাজ করছি।

‘এছাড়া আমার নির্বাচনী আসন দেখতে হচ্ছে, যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি-না। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। লো প্রোফাইল মেনটেন করছি। ’

করোনা ভাইরাসের এই সময়ে সরকারের পাশাপাশি সবারই দায়িত্বশীল হতে হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন এটাকে মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে নিয়ে কাজ করছি। আমার বাবাসহ যারা মুক্তিযোদ্ধা তাদের ডেডিকেশন আমাদের ইন্সপায়ার করে। দেশের জন্য একটা মিশনের মতো কাজ করছি।

‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পাশাপাশি একজন টিচার। দেশটাকে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেভাবেই কাজ করছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।