সোমবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জি মিং স্বাক্ষরিত এক খোলা চিঠিতে এ প্রতিশ্রুতির কথা জানানো হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে সারা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস বিস্তৃত হচ্ছে।
‘করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আমরা গভীরভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। চীনে যখন করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি ঘটে, তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানিয়ে আমাদের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে চিঠি দিয়েছিলেন। সে সময় বাংলাদেশের সরকার ও সমাজের প্রতিনিধিরা চীনকে মেডিক্যাল সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তাও দিয়েছে। বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় চীন ৪০ হাজার ৫০০ টেস্ট কিট, ১৫ হাজার সার্জিক্যল মাস্ক, তিন লাখ মেডিক্যাল মাস্ক, ১০ হাজার গাউন ও এক হাজার থার্মোমিটার সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া চীন দূতাবাস ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চীনের মেডিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে বাংলাদেশের মেডিক্যাল এক্সপার্টদের মতবিনিময়েরও ব্যবস্থা করেছে। আমরা জানাতে চাই, এই মহামারীর সময় ও মহামারী শেষেও বাংলাদেশের প্রকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবো। করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে চীন দূতাবাস পাশে থাকবে।
শুধু বাংলাদেশ নয়, করোনার এই ক্রান্তিকালে চীন এরই মাঝে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডাব্লিউএইচও) ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে। এছাড়া বিশ্বের ৮৯টি দেশে মেডিক্যাল সরঞ্জাম দিয়ে তারা সহায়তা করছে বলেও ওই চিঠিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
টিআর/এইচজে